ঝালকাঠি জেলার সদর উপজেলার কীর্তিপাশা ও নবগ্রাম ইউনিয়নের প্রায় ১৫টি গ্রামে পেয়ারা চাষ হয়ে আসছে বহুবৎসর ধরে। পেয়ারা হচ্ছে এই এলাকার মানুষের বেচে থাকার প্রথম অবলম্বন। কীর্তিপাশা ইউনিয়নের ১০টি গ্রামে ভীমরম্নলী মীরাকাঠি, ডুমুরিয়া, ভৈরমপুর,খেজুরা,খোদ্দবরাহর,বেশাইনখান, শংকরধবল, বেউখান, স্থানসিংহপুর ও কীর্তিপাশা এবং নবগ্রাম ইউনিয়নের নবগ্রাম, হিমানন্দকাঠি, দাড়িয়াপুর, সওরাকাঠি ও কঙ্গারামচন্দ্রপুরে প্রচুর পরিমানে সরজন পদ্ধতিতে স্বরম্নপকাঠি জাতের পেয়ারা চাষ হয়ে আসছে। এই জাতটি আনুমানিক দুই শত বৎসর পূর্বে তীর্থ স্থান ভারতের গয়া থেকে সংগ্রহ করে। তারা হোগলা বন কেটে জমি কান্দি বা সরজন তৈরী করে উচু করে নেয় যাতে বর্ষা বা জোয়ারের পানিতে কান্দি বাবেড নিমজ্জিত না হয় এবং পানি জলাবদ্ধতা সৃষ্টি না করে নিস্কাসনের সুযোগ তৈরী হয়। এই কান্দিতে তারা গ্রামের পর গ্রাম পেয়ারার বাগান তেরী করে। দুটি কান্দির মাঝে একটি নালা তৈরী হয়।জোয়ারের পানি বা অতিবর্ষার পানি এই নালা দিয়ে খালে উঠা নামা করে। বর্ষা মৌসুমে যখন পেয়ারা পাকা শুরম্ন করে তথন চাষীরা নৌকায় বাগানে ঢোকে এবং পেয়ারা পেড়ে নৌকা ভরে অসংখ্য খাল পথে বাজারে নিয়ে আসে এবং খালের মধ্যে নৌকায় বাজার বসে এবং কেনা বেচা হয়। এখানে প্রধান প্রধান বাজার হলো ভীমরম্নলী, শতদশকাঠি বাজার, আতা বাজার, ডুমুরিয়া বাজার, কুড়িয়ানা বাজার, আটঘর বাজার প্রভৃতি।
স্বরম্নপকাঠী জাতের পেয়ারা বিভিন্ন প্রকার-১। পূর্ন মন্ডলীঃ পেয়ারা গোলাকার, মাঝারী সাইজের, পেয়ারার উপরে আড়াআড়ি দাগ আছে, খেতে সুস্বাদু, সু-ঘ্রানযুক্ত ২। মুকুন্দপুরীঃ লম্বাটে, মাঝারী সাইজের, আগাম পাকে,খেতে সুস্বাদু, বাজারে চাহিদা কম ৩। চায়না পেয়ারাঃ তুলনা মূলক আকারে ছোট, রং লালচে, খেতে ভালো, পাকলে রং লাল হয় ৪। লাল পেয়ারাঃগোলাকৃতি, আকারে মাঝারী, সুঘ্রাণ যুক্ত, পাকলে ভিতর লালচে বর্ণ হয়, চাহিদা কম ৫। স্বরম্নপকাঠীঃ আকারে গোলাকৃতি, মাঝারী সাইজের, পেয়ারা উপরিতল মসৃণ, খেতে কচকচে, ফলন বেশি, বাজারে চাহিদা সব থেকে বেশি।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস