Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

পুরাকীর্তির সংক্ষিপ্ত বর্ণনা

 

                                             কীর্ত্তিপাশা জমিদার বাড়ী 

 

রাজা কীর্তি নারায়ণের নাম অনুসারে কীর্তিপাশা। রামজীবন সেন কীর্তিপাশা জমিদার বাড়ীর প্রতিষ্ঠাতা। এ বংশের সমত্মান রোহিনী রায় চৌধুরী ও তপন রায় চৌধুরী দুটি উজ্জবল নক্ষত্র। গাবখান নদীর তীরে স্টীমার ঘাট রোহিনী গঞ্জ রোহিনী রায় চৌধুরীর অবদান। সেই সাথে ইতিহাস গ্রন্থ বাকলা। কীর্তিপাশায় আছে হাসপাতাল যা ঝালকাঠি থানা সদরে (জেলা সদর) হাসপাতালের চেয়েও পুরাতন। শতবর্ষের পুরাতন প্রসন্নকুমার মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্বমহিমায় উজ্জল মুল জমিদার বাড়ী এবং দূর্গামন্দির এখন পরিত্যক্ত হয়ে আগাছা পূর্ণ হয়ে আছে। নাট্যশালার চিহ্ন রয়েছে এখনো। মঞ্চের গ্রিনরম্নম এবং হলরম্নমে পুনর্বাসিত হয়েছে কমলিকান্দর নবীনচন্দ্র বালিকা বিদ্যালয়। সতিদাহ প্রথার চিহ্ন একটি সহমরণ সমাধির চিহ্ন আছে এখনও। রোহিনী রায় চৌধুরীর সমাধিটি নতুনভাবে নির্মাণ করা হয়েছে। পারিবারিক শিব মন্দির এবং একটি শিব মূর্তি আছে এখনো। এটি ঝালকাঠি সদর উপজেলার কীতিপাশা ইউনিয়নে অবস্থিত।


সাহেব বাড়ি


এখানে ছিল নীল কুঠি। নীলকরদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে চাষিরা একজন কুঠিয়ালকে হত্যা করে। তার কবিরটি এখানে ছিল। সুগন্ধা নদীতে তা ভেঙ্গে গেছে। সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের পার্শ্বে অবস্থিত সাহেব বাড়ি এখন লিচু বাগান নামে পরিচিত।

অবস্থান: ঝালকাঠি পৌরসভা

সুজাবাদের কেল্লা


সম্রাট শাহজাহানের পুত্রদের মধ্যে কোন্দল হলে শাহ সুজা পরাজিত হয়ে ঝালকাঠির আমিরাবাদে এসে ঘাঁটি তৈরি করেন। নিজেকে এবং নিজের বাহিনীকে সুরক্ষিত করার জন্যে এই স্থানে এসে আশ্রয় নেন এবং ১৬৩৯ সালে কেল্লা নির্মাণ করেন। কেল্লাটির ধ্বংসাবশেষ এখনো বিদ্যমান।

যাতায়াত: ঝালকাঠি থেকে বাস , মাইক্রো, অটো, মোটরসাইকেল যোগে যাওয়া যায়।

অবস্থান: ঝালকাঠির আমিরাবাদে

গাজি বাড়ি


এক সময়ের জমিদার ছিলেন। গাজি সাহেব নামে পরিচিত। প্রায় দুইশ পঞ্চাশ বছর পূর্বে এ বাড়িটি প্রতিষ্ঠা করেন। এ বাড়িতে একটি অন্ধকার কুঠুরি আছে যেখানে অপরাধীদের শাস্তি দেয়ার জন্য ঢুকিয়ে রাখা হত।

যাতায়াত: ঝালকাঠি থেকে বাস , মাইক্রো, অটো, মোটরসাইকেল যোগে যাওয়া যায়।

অবস্থান: পুটিয়াখালী, রাজাপুর।

জমাদ্দার বাড়ি


কাঠালিয়া উপজেলার অন্যতম ঐতিহাসিক স্থাপনা জমাদ্দারবাড়িটি তৈরি হয় আনুমানিক ১৬০৬ সালের দিকে। জমাদ্দার পরিবারের উত্তরসূরিরা মনে করেন এ বাড়িটি চারতরা ভবন ছিল। তার দ্বিতলা মাটিতে দেবে গেছে। মোঘল আমলের স্থাপনার অনন্য নিদর্শন এটি। ভবনটির অভ্যন্তরে কারুকাজ বিহীন দেয়াল খুঁজে পাওয়া যায় না। সলি মাহমুদ জমাদ্দার এ ভবনটির প্রতিষ্ঠাতা। এ এলাকার জমিদার ছিলেন তিনি।

যাতায়াত: ঝালকাঠি থেকে বাস , মাইক্রো, অটো, মোটরসাইকেল যোগে যাওয়া যায়।

অবস্থান: ঝালকাঠি জেলার কাঠালিয়া উপজেলায়


জমাদ্দার বাড়ি মসজিদ


আনুমানিক ১৬০৬ থেকে ১৬১০ সালের দিকে এ মসজিদটি তৈরি হয়েছে বলে অনুমান করা হয়। এক গম্বুজবিশিষ্ট মসজিদ। বারো থেকে তেরো জন নামাজ পড়তে পারে এ মসজিদে। বর্তমানে কিছুটা নামাজ পড়ার জায়গা বাড়ানো হয়েছে মসজিদের মূল ভবন ঠিক রেখে। মসজিদটি চুন সুকরির গাঁথুনি। মসজিদের ভিতরে খিলানে অপূর্ব কারুকাজ খচিত আছে।

যাতায়াত: ঝালকাঠি থেকে বাস , মাইক্রো, অটো, মোটরসাইকেল যোগে যাওয়া যায়।


কলবাড়ি


কলবাড়ি বা নাখোদার মিল নামে পরিচিত তেল কারখানাটি তৎকালীন গোটা ভারত উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় কারখানা ছিলো। তিনশ ষাটটি তেল ভাঙ্গানো মেশিনে হাজার হাজার শ্রমিক কাজ করতো। এ ছাড়াও ধান ও গম ভাঙ্গানো হতো। এ তেল দেশের বিভিন্ন অঞ্চলসহ কলকাতা,করাচি,বোম্বাইয়েও রপ্তানি হতো। এ কোম্পানির মালিক ছিলেন পশ্চিম পাকিস্তানি মোঃ আমিন। স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় মালিক মারা গেলে মিলটি বন্ধ হয়ে যায়। সকালবেলা প্রচন্ড হুইলসেলের শব্দ জানান দিতো চালু হবার সময়। আর জানান দিতো বিরাট রাজত্বের কথা।


তেওয়ারি জমিদার বাড়ি ও মন্দির


রাজাপুরের কৈবর্ত্যখালী গ্রামে তেওয়ারি জমিদার বাড়ি। আজ থেকে প্রায় চারশত বছর পূর্বে রামপ্রসাদ তেওয়ারি ভারতের উত্তর প্রদেশের ফয়েজাবাদ থেকে এসে এখানে বসতি স্থাপন করেন। তার মূল উদ্দেশ্য ছিলো এ অঞ্চলে জমিদারি প্রতিষ্ঠা করা। সরকার বাহাদুরের কাছ থেকে রামপ্রসাদ তেওয়ারি জমিদারি প্রতিষ্ঠা করেন।

যাতায়াত: ঝালকাঠি থেকে বাস , মাইক্রো, অটো, মোটরসাইকেল যোগে যাওয়া যায়।

অবস্থান: রাজাপুরের কৈবর্ত্যখালী গ্রামে

ছুরিচোরা হাওলাদারবাড়ি মসজিদ


ডহরশংকর ছুরিছোড়া তিন মসজিদ, প্রায় ৬৫০ বছর আগে ধনাট্য সোনাউল্লাহ কর্তৃক নির্মিত।

যাতায়াত: ঝালকাঠি থেকে বাস , মাইক্রো, অটো, মোটরসাইকেল যোগে যাওয়া যায়।

অবস্থান: রাজাপুর, ঝালকাঠি


শ্রীনাথ রাজার কাছারিবাড়ি


শ্রীনাথ রাজার জমিদারি কাছারিবাড়ি এক ঐতিহ্যবাহী কাছারিবাড়ী। রাজা শ্রীনাথের তিন ছেলে সুবিদ রায়, গোপাল রায় এবং কামদেব রায়। এ তিন সন্তানকে তিনটি এলাকার জমিদারি ভাগ করে দিয়ে যায়। তাদের নামে এলাকার নামকরণ করা হয়। সুবিদপুর, গোপালপুর আর কামদেবপুর।

যাতায়াত: ঝালকাঠি থেকে বাস , মাইক্রো, অটো, মোটরসাইকেল যোগে যাওয়া যায়।

অবস্থান:  নলছিটি, ঝালকাঠি

শতবর্ষী বৃক্ষ


কথিত আছে; বিখ্যাত গুনাইবিবি পালার গুনাই এ গাছটি রোপন করেছিলেন। এটি ঝালকাঠির নবগ্রামে অবস্থিত।

যাতায়াত: ঝালকাঠি সদর উপজেলা থেকে বাস , মাইক্রো, অটো, মোটরসাইকেল যোগে যাওয়া যায়।

অবস্থান:  ঝালকাঠির নবগ্রামে অবস্থিত